দুই শালিক সিরিয়ালের ধামাকা নতুন পর্বের আপডেট
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই ঘটি বাবা এসেছে আঁখির আসল এবং নকল খুঁজে বের করতে। কালিপদ ঘটি বাবা সেজে বস্তিতে এসেছে। ঘটি বাবা বলে ঘট ঘট ঘটনতি যার মনে নেই শান্তি ঘটি যা সেদিকে চিনিয়ে দে নকলকে। তারপর হঠাৎ করে ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে আঁখি কে আটকে রেখেছে। আখিকে দেখে কালিপদো চমকে যায় বলে এখানে আঁখি ম্যাডাম কি করছেন। তারপর কন্যাকে বাইরে নিয়ে আসতে বলে। আঁখি বাইরে আসলে কালীপদ মনে মনে বলে দোলের দিন কি যেন একটা হয়েছে আঁখি ম্যাডামকে নিয়ে। গৌরব কি ছেড়ে দিয়েছে তাহলে আখিকে। তারপর সেখানে ঝিলিক চলে আসে তখন কালিপদ দুজনকে একসাথে দেখে চমকে যায় বলে দুটো আঁখি কোত্থেকে এলো। ঝিলিক তখন বলে কোথাও ওকে খুঁজে পেলাম না একজন বলল আমার মত দেখতে কে যেন গাড়িতে উঠে চলে গেল। ঝিলিকের বাবা বলে তাহলে একজনকে দিয়ে কিভাবে পরীক্ষা হবে। তখন ওর মা বলে যেহেতু একজন আছে তাইলে আর পরীক্ষা করার কি দরকার যে রয়েছে সেই আসল। ঝিলিক ও তখন বলে আমারও তাই মনে হয় ও ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়েছে। তখনই সেখানে নকল আঁখি চলে আসে আর বলে আমি কোথাও পালাইনি আমি আমার দেবার জন্য পুজো দিতে গেছিলাম। একই রকম দেখতে তিনজনকে একসাথে দেখে কালিপদ বলে লোকে আখের চাষ করে জানি এরা তো দেখছি আখির চাষ করেছে। তারমানে এখনো আমার চান্স আছে এদের মধ্যে যে নকল তাকে আমি বেছে নিয়ে চলে যাব আমার সাথে। তারপর কালিকপদ ঘটিটা ঘোড়ায় কিন্তু ঘটির মুখ গিয়ে দাঁড়ায় ঝিলিকের দিকে। তখন কালিপদ বলে এই নকল। ঝিলিক তখন কালিপদকে ধমক দিয়ে বলে এই আমি আঁখি নই আমি ঝিলিক এখানে সবাই জানে। তারপর কালিপদ ঘটি টা আবার ঘুরায় কিন্তু ঘটির মুখটা কারোর দিকে যায় না মাজ বরাবর থাকে।
পুষ্প বলে আপনার ঘটি তো কোনো কাজই করলো না আমার মনে হয় আপনার ঘটি নকল। তখন কালিপদ বলে খবরদার আমার ঘটি নিয়ে কোন কথা বলবেন না। আপনারা তো বলেছিলেন দুজন এখানে এসে দেখি তিনজন আমার ঘটির দিক ভুল করেছে। এখন আপনারাই ঠিক করুন কে আসল কে নকল। পল্টু তখন বলে আমরা ঠিক করবো তাহলে তোমাকে কেন নিয়ে এসেছি। কালিপদ বলে কোর্ট এ সব সময় বিচার করতে হয় না মাননীয় জজ সাহেব বলে দেন কোটের বাইরে তোমরা সেটেলমেন্ট করে নাও আমার এখানেও আজকে তোমরা ঠিক করে নাও আসল কে নকল আর নকল কে আমার হাতে তুলে দাও আমি আশ্রমে নিয়ে চলে যাব। তখন সমতার মা খেপে যায় নিয়ে যেতে দেবে না। পুষ্প তখন বলে তুই এত ক্ষেপছিস কেন আমাদের মেয়ে আমাদেরকে বুঝতে দে। কালিপদ বলে আমার পেমেন্টটা করে দিন আমি চলে যাই। পুষ্প তখন বলে আপনি তো কোন কাজই করতে পারলেন না কিসের পেমেন্ট। ঝিলিক বলে এবার যেদিন আপনি আসবেন সেদিন আসল নকলের তফাৎটা ধরে দেখতে দিবেন আর আপনার পেমেন্টটা নিয়ে যাবেন আজকের মতন আপনি যান। তখন কালিপদ ওখান থেকে চলে যায় ছাতা বাড়িতে। ছাতা বাড়িতে গিয়ে কালিপদ ওর বোনকে ডাকে। রাইমা তো কালিপদকে দেখে চমকে যায় বলে তোর এমন অবস্থা কেন তুই কোথায় গিয়েছিলি। কালীপদ বলে আমি এখন আসলাম বস্তি থেকে। ওখানে আসল নকলের তফাৎ ধরতে গেছিলাম। রাইমা জিজ্ঞাসা করে কাদের আসল নকল। কালিপদ বলে আমাদের সবার প্রিয় আঁখি। ওখানে না আখির মেলা বসেছে তিন তিনটা আঁখি। ওদের মধ্য থেকে একটা কে না আমি আমার সাথে নিয়ে যাব। রাইমা তখন ভয় পেয়ে যায় আর বলে খবরদার তুই এগুলো করবি না। তখন সেখানে পিসিমণি চলে আসে। আর জিজ্ঞাসা করে তখন রাইমা একটু কাচুমাচু করে আর কালিপদকে ওখান থেকে নিয়ে চলে যায়।
পিসিমণি মনে মনে বলে নিশ্চয়ই রাইমা আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছে কি সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এদিকে আমরা দেখি গোড়া পি আরকের অফিসে যায়। আর বলে আজ থেকে পিয়ার কের সবকিছু আমার। এতদিন আমি মার খেয়েছি আজকের দিনটার অপেক্ষায়। তখনই চেয়ারটা ঘুরিয়ে গৌরব গোড়ার দিকে তাকায়। গোড়া দেখে পিআরকের চেয়ারে গৌরব বসে আছে। তখনই গোড়ার ফোনে একটা কল আসে। গৌরব বলে ফোনটা রিসিভ করে স্পিকারে দে। গোড়ার মা কল করে বলে শোন বাবা বৌদি গৌরব কে দাদার অফিসে দায়িত্ব নিতে বলেছে কোন খবরদার এটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না। আরো অনেক অনেক বাজে কথা বলে। গোড়া কলটা কেটে দিতে গেলে গৌরব ওকে আটকায়। পিসি মনে কথা শেষ করে ফোন কেটে দিলে গৌরব বলে প্ল্যানটা তোরা ভালোই সাজিয়ে ছিলি। কিন্তু তোরা মনে হয় ভুলে গেছিলি জেস বোর্ডের উল্টোদিকে আমি রয়েছি গৌরব কাঞ্জিলাল। এখানে আসার পর থেকে শুনছি বাজারে আমাদের কোম্পানির অনেক বদনাম। গত পাঁচ বছরের সকল পেপারস ডকুমেন্ট আমার চাই এক্ষুনি। এদিকে ঘোড়া পি আর কে এর কাছে এসে গৌরবের নামে বদনাম করে। এসব কথা শোনার পর পিয়ার কি বলে যদি ওর আমার চেয়ারে বসতে হয় তাহলে আমার মত পা খেলিয়ে বসতে হবে। একজন রাজা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করে তখন সে বেঁচে নাই সব থেকে বড় গাধা কে। আর সেই গাধাটা হলে তুই। গৌরব ওর বাবার জায়গার থেকে আমার নামটা মুছে দিয়েছে। আজ থেকে ও শুধু আমার নামই বলবে ওর ঘাড়ে চেপে বসবো আমি। গোল হবে এবার গৌরব কাঞ্জিলাল ভার্সেস পি আর কে। কেউ কারো বাবা নয় কেউ কারো ছেলে নয় শুধুই প্রতিদ্বন্দ্বী। অন্যদিকে আমরা দেখি বস্তিতে ঝিলিক এবং দেবা গল্প করছিল। দেবা বলে দুইজনের মাঝখানে ঘটি টা আটকে গেল। ঝিলিক তখন বলে তুই এগুলো বিশ্বাস করিস আমি তো প্রথম থেকেই জানতাম ও একটা জালিয়াতি। কিন্তু আমার খটকা হচ্ছে আখি আজকে হঠাৎ পুজো দিতে গেল কেন। ওকি এর আগেও কখনো গেছে পুজো দিতে।