দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের ধামাকা নতুন পর্বের আপডেট
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই ঝিলিক আখি ওরা সকলে মিলে বড় মন্দিরে দোল যাত্রার উৎসবে মেতে ওঠে। ওরা সকলে মিলে ওখানে নাচ গান করে হই-হুল্লোড় করে অনেক আনন্দ করে। আঁখি এবং ঝিলিক ওখানে নিত্য পরিবেশন করে। অন্যদিকে পি আর কে ছদ্মবেশ ধারণ করে মন্দিরে আসে। আবার এদিকে ছাতা বাড়ির লোকেরা সকলে মিলে আসছিল মন্দিরে পুজো দেবার জন্য। আঁখি এবং ঝিলিকের নিত্য যখন শেষ হয় তখনই ওখানে সাঁতা বাড়ির লোকেরা পৌঁছে। ওরা সবাই আঁকি এবং ঝিলিক কে একসাথে দেখে অবাক হয়ে যায়। গৌরবের মা জিজ্ঞাসা করে তোমাদের মধ্যে আঁখি কে। আঁখি তখন বলে আমি আঁখি ম্যাডাম। তখন গৌরবের মা ঝিলিক কে বলে আর তুমি কে। গৌরব তখন বলে ও আমার স্ত্রী এই বস্তির মেয়ে। গৌরবের কথা শুনে সাঁতা বাড়ির সবাই হতবাক হয়ে যায়। গৌরবের মা তখন বলে আমি তো তোকে আখির সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম। গৌরব বলে মা আসলে সেদিন ওখানে আখি নয় ঝিলিক ছিল। আঁখি ওই দিন ছাতা বাড়িতে ছিল না। গৌরবের মা তখন ঝিলিক্কে বলে। কেন এসেছিলে আমাদের বাড়িতে একটা বস্তির মেয়ে সাতা বাড়ির বউ হওয়ার লোভে এসেছিলে। ঝিলিক বলে না মা আমি ছাতা বাড়ির বউ হওয়ার লোভে নয় আমি আখি কে পি আর কের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য গিয়েছিলাম। গৌরবের মা তখন ঝিলিককে একটা চড় মেরে দেয়। আর বলে মুখ সামলে কথা বলো উনি আমার স্বামী তুমি তার নাম ধরে বলতে পারো না।
তোমার মত একটা ঠক জোচ্চোর মেয়ের মুখে আমি আমার স্বামীর নাম শুনতে চাই না। গৌরব ওর বাবার বিরুদ্ধে যতই যাক কোনদিনও ওর বাবার ক্ষতি চাইনি। আজ তুমি তাকে দিয়ে এগুলো করালে। গৌরব তখন বলে মা আমি বলেছিলাম অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। গৌরবের মা বলে তুই ও তো অন্যায় করেছিস গৌরব। উনি যেমনই হোক সে কিন্তু তোর বাবা তোকে ছোটবেলা থেকে মানুষ করেছে তোকে বাইরে লেখাপড়া শিক্ষার জন্য পাঠিয়েছে তুই তো তার সেই সম্মানটুকুও দিলি না। ঝিলিক তখন বলে আপনি কাকে সম্মান দেওয়ার কথা বলছেন মা। যে দিনের পর দিন আপনাকে মানুষ মনে করেনি। আখি কে দিয়ে কাজ করিয়েছে আখিকে মেরেছে তখন কোথায় ছিল আপনার এই কথা। যখন আঁখির টাকার লোভে আঁখিকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল পি আর কে তখন আঁখি বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিল তখন ওর পাশেএই ঠক জোচ্চোর বস্তির মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছিল। তখন কোথায় ছিল ছাতা বাড়ির সকলে। আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করার জন্য ওই বাড়িতে যায়নি। আপনি আমাকে অনুরোধ করেছিলেন আপনার ছেলেকে বিয়ে করার জন্য। একটু মনে করে দেখবেন প্লিজ। লোভ যদি কারো থাকেনা তাহলে সেটা আপনার স্বামীর ছিল। সম্পত্তির লোভ টাকা পয়সার লোভ যে লোভের কারণে আপনার স্বামী আমার বাবাকে মিথ্যে অপবাদে জেলে পাঠিয়েছে। আমার মাকে মেরে ফেলতে চেয়েছে।আঁখি বলে উনি বলেছে না ছোটবেলা থেকে উনি উনার কর্মচারীর মেয়েকে মানুষ করছেন আসলে আমার বাবা ওনার কর্মচারী ছিলেনই না।বরং উনি আমার বাবার কর্মচারী ছিলেন। সবাই ওর কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। পি আর কে লুকিয়ে লুকিয়ে ওদের সবার কথা শুনছিল। ওদের কথা শুনে ও তখন বুঝতে পারে ঝিলিক এবং আঁখি দুজনে জমজ বোন।
দেবা তখন বলে এবার বলুন কে ঠক কে জোচ্চোর ঝিলিক নাকি প্রিয় রঞ্জন কাঞ্জিলাল। উনি যদি এতটাই সৎ হবেন তাহলে আইনের লোকের হাত থেকে পালালেন কেন। দেবার কথা শুনে সবাই হতোবাক হয়ে যায়। গৌরব তখন দেবা কে বলে তুমি থামো দেবা। দেবা বলে অনেকক্ষণ থেকে অনেক কথা শুনে যাচ্ছি যা নয় তাই বলছে তোমার মা ঝিলিক কে। গৌরব বলে দেবে প্লিজ আমার মায়ের অসম্মান নয়। গৌরব তখন বলে অসম্মান তো অন্য একটা মায়েরও হয়েছে। নীলিমা তখন বলে ও তাহলে তুমিই দেবা। তুমি এখনো বেঁচে আছো আর তোমাকে মেরে ফেলার অভিযোগে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। গৌরব তোর উপর যতটুকু ভরসা ছিল আজকে তাও নষ্ট করলি। গৌরব তখন বলে উনার উপরে একটা অভিযোগ ছিল না মা হাজারটা ছিল। এই বস্তির একটা মেয়েকে পিয়ার কে বিয়ে করে সন্তান তৈরি করে তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়নি। আর সেই ছেলেটা হলো দেবা। আমি শুধু দেবার সম্মানটুকু ফিরিয়ে দিতে চেয়েছি। মা দেবা আমাদের পরিবারের একজন আমার দাদা। গৌরবের মা বলে আমি মানি না। তুমি যদি এ মনে করো আমার সন্তানকে হাত করে আমার বাড়িতে ঢুকবে তাহলে ভুল ভেবেছো। আমি আমার স্বামীর অবৈধ সন্তানকে কখনোই মেনে নেব না। তুমি আমার স্বামীর অবৈধ ছেলে আর অবৈধ থাকবে।
গৌরব ওর মাকে বলে মা প্লিজ তুমি মেনে নাও। ওর মা বলে তুই যদি জানিস তোর স্ত্রীর আগে একটা বিয়ে হয়েছিল সেই ঘরে একটা সন্তান ছিল তুই কি পারবি মেনে নিতে। মহান হওয়া বলাটা অনেক সোজা কিন্তু হওয়াটা অনেক কঠিন। এবার আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দে তুই। তোদের যখন বিয়ে হয়েছিল তখন কি তুই জানতিস ওটা আঁখি নয় ঝিলিক। গৌরব তখন বলে না জানতাম না। তখন ওর মা বলে তাহলে এই বিয়ের কোন মূল্য আমার কাছে নেই। আমি এই বিয়ে মানি না। বস্তির মেয়ের ছাতা বাড়িতে কোন জায়গা নেই আজ থেকে। গৌরব তখন ওর মাকে বলে তাহলে একটা কথা পরিষ্কার করে শুনে নাও মা ঝিলিকের যখন ছাতা বাড়িতে জায়গা নেই তাহলে আমিও ফিরবো না। আমি জানি ঝিলিক তার নিজের পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে করেছিল। কিন্তু ওটা বাদ দিলে বাকি সব তো সত্যি। গৌরবের মা তখন বলে বিয়ে একটা পবিত্র জিনিস। সেখানে একটা মিথ্যা পুরো সব সত্যিকে মিথ্যা করে দেয়। হয় আজকে তোরা বাড়িতে ফিরবি না হয় আমি ফিরবো। ফিরতে হলে তোকে একা ফিরতে হবে গৌরব আমার সাথে। তখন ঝিলিক গৌরব কে বলে আপনি বাড়িতে ফিরে যান মায়ের সাথে আমি জানি আপনি আপনার মাকে অনেক ভালোবাসেন। গৌরব তখন ওর মায়ের কাছে এসে ওর মাকে প্রণাম করে তারপর ফিরে গিয়ে ঝিলিকের হাত ধরে। তারপর ওর মাকে বলে একটা সম্পর্ক ভেঙে অন্য সম্পর্কের মান রাখা যায় না মা এটা তোমার কাছ থেকে শিখেছিলাম। আমি তোমাকে বলেছিলাম আমি আমার বাবার সন্তান নই আমি তোমার সন্তান। আজও আমি তোমার সেই দেখানো পথেই হাঁটবো। আজ থেকে আমি বস্তিতেই থাকবো।