দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের ধামাকা দার নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই গৌরব ওর মাকে বলে আমাকে তুমি ক্ষমা কোরো মা আমি তোমাদের সবাইকে অনেক মিস করবো। এ কথা বলার পর গৌরবের মা রাগ করে ওখান থেকে চলে যায়। তার সাথে সাথে ছাতা বাড়ির সকলেই চলে যায়। তখন বস্তির লোকেরা সকলে গৌরব কে আপন করে নেয়। এদিকে সমতা একা একা বলে বাইরের কেউ এসে দেবা দা কে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেবে আমি এটা কিছুতেই হতে দেবো না আঁখি কে আমি শেষ করে দেবো। তখনই কে জানি সমতার কাঁধে হাত রাখে। সমতা বলে আপনি এখানে। তারপরে সীন এ আমরা দেখতে পাই। রজতাভোলাহিড়ী তার অফিসে বসে বলে পিআরকে আউট রজতাবোলাহিড়ী ইন। এতদিন আমি আঁখিকে পিয়ারকের হাত থেকে শুধু শুধু তো আর আগলে রাখিনি। ওর সকল সম্পত্তি আমার চাই। উনি একটা পেপারস রেডি করে রাখে আর বলে এখানে একটা সই এর দরকার আখির সই। তখনই আমরা দেখি ওখানে আখি আসে আর বলে উকিল কাকু আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে। রজতাবলাহেরি বলে বলো কিসের কথা। আঁখি তখন বলে আমার সকল সম্পত্তি আমি ফেরত চাই। এ কথা জানার পর উকিল একটু ঘাবড়ে যায়। আর বলে তোমারই তো সবকিছু এত তাড়া কিসের। তখন আঁখি বলে আসলে নিজের সম্পত্তি নিজের নামে থাকা আর হাত দিয়ে নেড়ে চেড়ে রাখা তো আর এক নয়। তখন লাহেরি একটা পেপার আঁখিকে দিয়ে বলে তাহলে এখানে দুইটা সই করো। কিসের সই জানতে চাই পরে উকিল বাবু বলে তুমি যে তোমার সম্পত্তি তোমার নামে নিয়ে নিচ্ছো এটা তারই জন্য সই। তখন পেপারসটা আঁখি একটু ভালোভাবে দেখে উল্টেপাল্টে। তখন ওখানে লেখা ছিল আমি সজ্ঞানে আমার সম্পত্তি পিয়ারকে এর কাছে সেভ মনে করছি না তাই রজতাভলাহেরির কাছে হস্তান্তর করছি।
আঁখি জানতে চাই এইসবের মানে কি। উকিল তখন বলে এখন সম্পত্তি তোমাকে হস্তান্তর করা যাবে না। যেমন চলছে তেমনি চলবে শুধু পি আর কে এর জায়গায় আমি দেখাশোনা করবো। আঁখি তখন বলে আমি এখানে সই করতে পারবো না। উকিল তখন আখিকে সই করার জন্য জোর করে। তখন সেখানে ঝিলিক আসে আর বলে আর ও সই না করলে ওকে কি করবেন। তখন উকিল ঝিলিককে দেখে ঘাবড়ে যায় আর বলে তুমি কে। ঝিলিক বলে আমি যেই হই তাতে আপনার কি। ও যেটা চাইছে সেটা ওকে দিয়ে দিন। উকিল বলে এভাবে সম্পত্তি কাউকে হস্তান্তর করা যাবে না এর জন্য আসল মালিক কে উপস্থিত থাকতে হবে। ঝিলিক তখন বলে ও তাহলে এই কথা আপনি ওনাকে আপনার চারি পাশেই পাবেন আমি ডেকে দিচ্ছি তারপর ঝিলিক ওর বাবাকে ডাকদেই। অনিমেষ রায় ওখানে এসে উকিলকে বলে এরা আমারই মেয়ে। উকিল বলে আপনি কে। উনি বলে আমি অনিমেষ রায়। উকিল তখন বলে কিন্তু অনিমেষ রায় তো জেল থেকে বেরোনোর পর রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে তার প্রমাণও আমার কাছে আছে। ঝিলিক তখন বলে এভাবে আপনি সম্পত্তি না দিলে যেখানে গেলে কাজ হবে সেখানেই যাব কিন্তু আমার বাবার সম্পত্তি আমি আদায় করেই ছাড়বো। তারপর ওরা ওখান থেকে চলে যায়।
অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই ছাতা বাড়িতে গৌরবের মা রান্নাঘরে রান্না করছিল। আর চিন্তা করছিল তখনই হঠাৎ করে ওর মাথার ভিতরে ঘুরে ওঠে আর ওখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সকলে ওকে নিয়ে মাথায় পানি দেয় আর তখন আতর গৌরব কে কল দিয়ে বলে ছোট মা অজ্ঞান হয়ে গেছে তুই তাড়াতাড়ি একটু বাড়িতে আয়। ওদিকে গৌরব ওর মায়ের খবর শুনে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যাচ্ছিলো বাড়ি উদ্দেশ্যে তখন বস্তির একটা মহিলা তরকারির ময়লা ফেলতে গিয়ে গৌরবের গায়ে লাগে। তখন গৌরব মহিলা কে বলে একটু দেখে ফেলতে পারেন না। পুরো বস্তিটাকে নোংরা করে রেখেছেন। তখন ঐ মহিলা বলে তোমাকে বস্তিতে এসে থাকতে কে বলেছে বাবা। তখন ওখানে গৌরব আর ওই মহিলার সাথে একটা ঝগড়া হয়ে যায়। সেখানে দেবা ওরা সকলে আসে। দেবা তখন বলে মাসি তুমি এটা কি করেছো ওনার গায়ের জামার দাম ও তো তোমার জায়গার দামের থেকে বেশি। গৌরব দেবা কে বলে তুমি কোন কথা বলোনা এর ভিতর। গৌরব আর দেবার ভেতরেও তখন কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন ওখানে আঁখি ঝিলিক ওরা আসে আর দেবা কে বকে। তারপর গৌরব ও ওর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তখন অনিমেষ রায়ের কাছে একটা কল আসে। আর ওদেরকে বলে ট্রানস রিপোর্টের মিটিং আছে আজকে বিকালে। ঝিলিক গৌরবকে কল দেয় ও বিকালে থাকতে পারবে কিনা কিন্তু গৌরব বলে আমি থাকতে পারবো না নিজেদের কাজ নিজেরাই করে নাও।
ট্রান্সপোর্ট এর মিটিং এ ওকে রজতাভ লাহিড়ী বলে উনি অনিমেষ রায় নয়। অনিমেষ রায় এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে। উনি কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলছেন জানতে চাইলে উকিল বলেন উনি আমার সামনে মারা গেছে। অনিমেষ রায় তখন বলে তুমি মিথ্যে কথা বলছো। আমি জেল থেকে বের হবার পর উনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উকিল তখন বলে হ্যাঁ কথা হয়েছে কিন্তু আপনার সাথে না অনিমেষের সাথে। অনিমেষ রায় আমার সাথে দেখা করতে এসে আমার সামনে এক্সিডেন্ট করে। আমি ওনাকে সাথে নিয়ে হসপিটালে জায়। উনি হসপিটালে মারা যায় ওনার সার্টিফিকেট আমার কাছে আছে। তারপর পেপার টা সকলকে দেখায়। তখন আঁখি উঠে দাঁড়িয়ে সকলকে বলে উনি মিথ্যা কথা বলছেন। এই ডেট সার্টিফিকেট ও মিথ্যা। আজকে সকালে আমি ওনার চেম্বারে গিয়েছিলাম আমার সমস্ত সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য। উনি আমাকে এমন একটা পেপারে সই করতে বলেন যেখানে লেখা ছিল আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি ওনাকে হস্তান্তর করছি। তখন উকিল বাবু বলে তুমি এটা কেন করছো আমি সেটাও জানি।
প্রিয়রঞ্জন কাঞ্জিলাল এর বাড়ি থেকে পালিয়ে তুমি একটা বস্তির ছেলেকে বিয়ে করেছো। তারপর অনিমেষ রায় কে বলে এই লোকটা একটা ফ্লড চিটিংবাজ। তখন ঝিলিক বলে একদম উল্টোপাল্টা কথা বলবেন না অনেকক্ষণ ধরে সহ্য করছি। উনি আমাদের বাবা। তখন ট্রান্স রিপোর্টের মেম্বার বলে বাবা মানে অনিমেষ রায়ের একটা মেয়ে আঁখি রায়। তখন অনিমেষ বলে এটাও আমারই মেয়ে পাখি ও এতদিন আমার কাছে ছিলনা। জন্মের সময় আমি ওকে হারিয়ে ফেলি। উকিল তখন বলে এরা সব মিথ্যেবাদী এরা সবাই অবৈধ। তখন দেবা উঠে গিয়ে বলে উকিলকে ধমক দিয়ে উনি আমার স্ত্রী আর উনি আমার শ্বশুর এই সম্পত্তির আসল মালিক ভালই ভালই উনাদের সম্পত্তি ওনাদের ফেরত দিন না হলে আপনার বিপদ হবে। যখনই ট্রান্সপোর্টের মেম্বার পেপারে সই করতে যাবে তখনই ওখানে আঁখির মতো দেখতে আর একটা মেয়ে আসে আর বলে দাঁড়ান ও নকল আঁখি আমি আসলে আঁখি।