দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের ধামাকা নতুন পর্বের আপডেট,
নকল আঁখি কে বলে তুমি চাইলে ছাতা বাড়িতে থাকতে পারো আমি মায়ের সাথে কথা বলে নেব।। কিন্তু নকল আঁখি বলে এ মা না না স্যার আমি ছাতা বাড়িতে থাকতে পারবো না আমাকে বস্তিতে ফিরতে হবে। তা না হলে ওই যে নকল আঁখি আছে না ও দেবার কোন ক্ষতি করে দেবে। কিন্তু গৌরব তখন বলে আচ্ছা ও দেবার ক্ষতি কেন করবে ওতো দেবা কে পাওয়ার জন্য বস্থিতে এসেছে। একটা কথা বলতো তুমি যদি নকল আঁখি হতে তাহলে তুমি কি দেবা কে মারার কথা ভাবতে নাকি পাওয়ার কথা ভাবতে। মেয়েটা কিছুই বলেনা চুপ করে থাকে। তখনই হঠাৎ করে ওর ফোনে কল আসে একটা। পি আর কে কল দিয়েছে। কিন্তু গৌরব ওখানে থাকায় মেয়েটা ফোন রিসিভ করেনা। গৌরব বলে তুমি কথা বলতে পারো আমার সামনে সমস্যা নাই। কিন্তু ফোনটা রিসিভ করেনা তখন গৌরব বলে আচ্ছা তুমি থাকো এখানে আমার একটু কাজ আছে। তারপর গৌরব করে ওখান থেকে চলে যায়। গৌরব চলে যাওয়ার পর মেয়েটা পি আর কে এর কাছে কল দেয়। আর বলে আমি এখন ওনার চেম্বারেই বসে আছি। উনি আমার সব কথা বিশ্বাস করেছে আর উল্টে দেবার সাথে ঝামেলাও করেছে। উনি না আসলে ভালোই কেয়ারিং। তখন পি আর কে বলে তুমি ফোনটা কাটবেনা লাইনে রেখে দেবে, গৌরবের সাথে কি কথা হয় আমি সব শুনবো। মেয়েটা ফোনটা লাইনে রেখে দেয় না কেটে। গৌরব আড়াল থেকে মেয়েটা সব কথা শুনে নেয়। কথা শেষ হলে গৌরব ওখানে আসে মেয়েটার জন্য খাবার নিয়ে। তখন মেয়েটা বলে এসবের কোন দরকার নেই স্যার। গৌরব তখন বলে আরে না প্রথম বার তুমি আমার অফিসে এসেছো তোমাকে যদি কিছু খেতে না দেই তাহলে তো তুমি আবার বাইরে গিয়ে বলবে আমি কেয়ারিং নয়। গৌরবের এই কথা শুনে পি আর কে আর মেয়েটা মনে মনে ভাবতে থাকে উনি কি সব কথা শুনে নিয়েছে।
গৌরব মেয়েটাকে বলে আচ্ছা তুমি জানলে কি করে যে আমি এই টাইমে অফিসে আসি। মেয়েটা তখন বলে আমি জেনেছি ঝিলিকের থেকে। তখন পিআরকে মেয়েটাকে একটা মেসেজ দেয় বলে তাড়াতাড়ি ওখান থেকে তুমি পালাও গৌরব তোমাকে জেরা করছে। মেয়েটা মেসেজটা পাওয়ার সাথে সাথেই বলে স্যার আমার তারা আছে আমি এখন আসি। তাই বলে ওখান থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে যায়। অন্যদিকে বস্তিতে ঝিলিক আঁখি দেবা ওরা সকলে মিলে কালিপদকে বিরিয়ানি নিয়ে এসে খাওয়ায়। তারপর বলে কালকে আমাদের বস্তিতে একটা সর্ষেফুল অনুষ্ঠান আছে। আর কালই হচ্ছে ওই মেয়েটাকে ধরবো আমরা। আমার আর আখির যেদিন দেখা হয়েছিল সেদিন আমরা দুজনে খুব নেসেছিলাম। এটা আমি আর আখি ছাড়া কেউ জানে না। কালকে ওই অনুষ্ঠানে দুজনকে নাচ করতে বলবো যে হুবহু পারবে সেই আসল আঁখি। কারণ নকল আঁখি তো ওই ডান্সটা জানেইনা। আর এই অনুষ্ঠানের জাজ থাকবে তুমি। তাই আমি এই ডান্স টা তোমাকে পাঠাচ্ছি যাতে তুমি মিলিয়ে দেখে চিনতে পারো। আর নকল আঁখি কে একবার ধরা হয়ে গেলে কালই তোমার সাথে বিয়ে হবে। কালিপদ অনেক খুশি হয়ে যাই বিয়ের কথা শুনে। তারপর ছাতা বাড়িতে যাই। গিয়ে রাইমাকে বলে বোন আমি আমার বিয়ে ঠিক করে এলাম।। রাইমা বলে তোকে না আমি বস্তিতে যেতে বারণ করেছি। কিন্তু কালিপদ রায়মাকে সবকিছু খুলে বলে আর ওই ডান্সের ব্যাপারেও বলে। রাইমা তখন মনে মনে বলে তাহলে তো ও কাল ধরা পড়ে যাবে। তখনই কালিপদ বলে আমি কালকে জাহাজ হবো এজন্য ওরা আমাকে আগে থেকে ভিডিওটা দিয়ে রেখেছে। তখন রাইমা কালিপদর ফোন থেকে ভিডিওটা নিয়ে নেই তারপরে নকল আঁখিকে ভিডিওটা সেন্ড করে যেন রিহার্সেল করে।
এদিকে গৌরব অফিসের কাজ শেষ করে বস্তিতে আসে। তখন পুষ্পর দোকানে বসে ছিল অনিমেষ রায় এবং পুষ্পর বর। গৌরব কে দেখে ওরা ডেকে বসায় দোকানে। তারপর পুষ্পব বলে আমার হাতের ডিম টোস্ট করে দিচ্ছি তোমাকে এক্ষুনি। তখন গৌরব পিয়ারকের কোম্পানিতে জয়েন করার ব্যাপারটা ওদেরকে বলে। আরো বলে সবকিছু তো ঠিকই আছে সব পেপার্স ঠিক আছে। কোন কিছুতেই কোন গরমিল নেই। আমার মনে হয় শুধু শুধু দেবা সব ইমপ্লয়ীদের খোঁচাচ্ছে। তখন অনিমেষ রায় বলে তুমি ভুল জেনেছো। তোমার সামনে একটা পর্দা ফেলে রেখেছে ওরা। কোম্পানিতে সব কিছু ঠিক আছে কিনা এটা জানার জন্য আমি অনেকদিন ওই কোম্পানিতে ছদ্মবেশে চাকরি করেছি। সবকিছুই গরমিল কোম্পানির। সত্যটা জানার জন্য তোমার সকল কর্মচারীদের কাছে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। কর্মচারীদের সাথে কথা বলতে হবে। তখনো ওখানে ঝিলিক এসে বলে আপনি এখানে বসে খাচ্ছেন। পুষ্প তখন বলে ঝিলিক তুই তাহলে গৌরবকে চা টা করে দে আমি সন্ধ্যেটা দিয়ে আসি। তারপরে একে একে সবাই ওখান থেকে চলে যায়। এখন গৌর আর ঝিলিক দুজন একসাথে ভাগ করে চা খাই। তারপর গৌরব ঝিলিক কে সবকিছু খুলে বলে। ঝিলিক ও মেকাপের ব্যাপারে গৌরব কে সবকিছু বলে। তারপর বলে কাল উৎসবে সব কিছু জানতে পারবেন। গৌরব বলে কাল আবার কিসের উৎসব। ঝিলিক তখন বলে সর্ষে ফুলের উৎসব। এদিকে মেয়েটা একা একা ঘরের ভিতরে রিহার্সেল করছিল সেই ডান্স। তখন ঝিলিক আঁখি এবং দেবা তিনজন এসে দেখে। আর বলে যত খুশি রিহার্সেল করো তুমি কাল যদি তোমাকে চোখে সর্ষে ফুল না দেখিয়েছি তাহলে আমার নাম জুডো ঝিলিক নয়।