দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের ধামাকাধার নতুন পর্বের আপডেট।
শুরুতে আমরা দেখতে পাই গৌরব পিয়ার্কের অফিসের সব পেপার দেখে অবাক হয় বলে এখানে তো সবকিছু ক্লিয়ার আছে হিসাবের কোন গড়মিল নেই। যাদের সাথে করা হয়েছে তারা পার্মানেন্ট ছিল না তাদের বেতনাও দেওয়া হয়েছে তাহলে বস্তির লোকেরা পিআরকে এর উপর ক্ষেপে আছে কেন। তখনই ওখানে একটা অফিসের লোক আসে। গৌরব ওনাকে বলে আচ্ছা কোন কিছুতে কোন গড়মিল নেই তাহলে কোম্পানির বিরুদ্ধে এতো এলিগেশন কেন। তখন লোকটা বলে স্যার এগুলো এলিগেশন না নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়। স্যার এগুলো দেবার কার সাজি। পি আর কে স্যারের সাথে নিশ্চয়ই ওর কোন পার্সোনাল সমস্যা আছে তাই ও এগুলো করে। ওতো কম্পানির স্টাফ ও নয় তারপরেও এসে কোম্পানি তে ঝামেলা করে। গৌরব তখন বলে তুমি এগুলো নিয়ে যাও এখন আমি প্রতিদিন কোম্পানিতে আসবো এখন থেকে দেখবো কিসে ঝামেলা হয়। তখন ঝিলিক গৌরব কে কল করে আর বলে সন্ধ্যা বেলায় আপনি বস্তিতে একটু থাকবেন। কেন জানতে চাইলে বলে আপনার বউ একটা বড় ইভেন্ট করছে আপনি না থাকলে কি করে হবে। তখন গৌরব বলে ঠিক আছে আমি আসবো। তারপর আমরা দেখতে পাই সন্ধ্যা বেলায় সবাই এক জায়গায় হয়। এদিকে রাইমা এসে চুপি চুপি লুকিয়ে ভিডিও কলে পিআরকে কে সব কিছু দেখায়। অন্যদিকে কালিপদ এবং পিসিমণি ওরাও ছদ্মবেশ ধারণ করে লুকিয়ে লুকিয়ে সবকিছু দেখছিল। তখন ঝিলিক আঁখি এবং নকল আঁখিকে দুজনকে দুটো পেপারস দিয়ে বলে তোরা এখানে আলাদা আলাদা সই কর। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দুজনেই একই রকম সই করে। তখন ঝিলিকের মনটা ভেঙে যায় তখন ওরা বুঝতেই পারেনা যে কি করে ধরবে কে আসল আঁখি।
এদিকে ভিডিও কলে পি আর কে সবকিছু দেখে আর হাসে। বলে আমি জানতাম তুই কিছু কিছু স্টেপ অবশ্যই ট্রাই করবি। তাই আমি আগে থেকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে রেখেছিলাম। এদিকে ঝিলিক এর মনটা ভেঙে যায় ও বের করতে পারে না কে আসল আঁখি। গৌরব তখন ঝিলিক কে বলে তুমি মন খারাপ করো না কোন না কোন উপায় বের হবে তুমি হারতে শেখোনি তুমি হলে জুডো ঝিলিক। তারপর দেখি দেবা ঝিলিক পল্টু আঁখি ওরা সবাই একই সাথে দাঁড়িয়ে থাকে। আঁখি বলে মেয়েটা আমার সই ও নকল করে নিয়েছে। ঝিলিক বলে এই একই কথা মেয়েটা সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে তুই ওর সই নকল করেছিস। তখন দেবা বলে মেয়েটা বলল আর তুই বিশ্বাস করে নিলি। আমি বলছি এটাই আমার বউ এটাই আসল আঁখি। ঝিলিক বলেন তুই কি করে বুঝলি এটা আসল আঁখি এটা তো নকল হতে পারে। তখন ৪ আনা বলে আমারও না একটু ডাউট আছে। আঁখি তখন বলে তোর কি নিয়ে ডাউট রে যে আমি আঁখি নই। চার আনা বলে আঁখি দিদি কখনো কারো সাথে কোন কিসু নিয়ে ঝামেলা করে না। যে যা চাই তাকে এমনিতেই দিয়ে দেয়। তুই যদি আঁখি দিদি হতিস তাহলে মেয়েটার জন্য দেবা দাকে ছেড়ে দিতিস। দেবা তখন আবার বলে আমি বলছি তো এটা আমার বউ আঁখি। ঝিলিক জানতে চাই তুই কি করে বুঝলি যে এটা আঁখি। দেবা বলে আমি যখন আঁখি কে যখনি জড়িয়ে ধরি তখন আমার বুকের ভিতর কেমন জানি হয়ে ওঠে।
ঝিলিক দেবা কে বলে তোর একে জড়িয়ে ধরলে বুক ধুক বুক করে। ওকে জড়িয়ে ধরলেও তো করবে ওরা তো একই। তখন আঁখি দেবা কে বলে যাউ ওকেউ জড়িয়ে ধরো তোমার তো আবার একটা বউ তে হয় না। ঝিলিক তখন বলে আমি আমাদের সকলের ডিএনএ টেস্ট করাব তাহলে ধরা পড়ে যাবে কে আসল। তারপর ঝিলিক হাসপাতালে যায় ডিএনএ টেস্ট করানোর জন্য। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বলেন ডিএনএ টেস্ট করাতে গেলে কোর্টের অর্ডার লাগবে। তাই ঝিলিক তখন যাই রজতাভলাহেরির কাছে। তারপর ওকে গিয়ে বলে ডিএনএ টেস্ট করালেই তো বের হয়ে যাবে যে অনিমেষ রায় এবং আসল আঁখি কে। আপনি আমাদের ডিএনএ টেস্টের জন্য কোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে এসে দেবেন। উকিল তখন মনে মনে বলে এদের ডিএনএ টেস্ট করালে তো সবকিছু সামনে চলে আসবে। আবার যদি না বলে তাহলে তো অন্য উকিলের কাছে চলে যাবে। তারপর মনে মনে ভাববে যে যে করেই হোক এই ডিএনএ টেস্ট আটকাতে হবে। উকিল ঝিলকে বলে ৩-৪ দিন সময় লাগবে। ঝিলিক বলে একটু তাড়াতাড়ি করবেন তা না হলে যে পারবে তার কাছে চলে যাব। তারপর ঝিলিক তখন ওখান থেকে চলে যায়। তখনই উকিলের কাছে পিয়ারকে কল দেয়। ঝিলিক কেন এসেছিল জানতে চাইলে উকিল সবকিছু বলে। পিআরকে উকিলকে বলে যেভাবেই হোক ডিএনএ টেস্টটা আটকান। উকিল বলে টেস্ট আটকাতে গেলে অন্য কারো কাছে চলে যাবে আপনার বৌমা। তার থেকে আমি একটা কাজ করতে পারি আমি একটা ফলস কোর্ট অর্ডার বানাতে পারে যেটাতে লেখা থাকবে কোর্টের দেখানো হসপিটালে ডিএনএ করাতে হবে। আর বাকিটা আমি দেখে নেব। চিন্তা করবেন না সবকিছু আমাদের ফেভারেই থাকবে। Next