দেবা ঝিলিকিকে বাঁচিয়ে নিলো এবং নতুন রুপ দিলো



দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের ধামাকাধার নতুন পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই গৌরবের লাশ ভেবে একটা বডিকে ওর পরিবারের লোকেরা সৎকার এর কাজ করছিল। অন্যদিকে গৌরব সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পালিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছিল। ওদিকে ঝিলিক মনে মনে ভাবে গৌরব আর ওর পুরনো স্মৃতি। আর বলে তোমার আর আমার ভালোবাসাটা অল্প দিনের। আমরা কেউ কাউকে বলতে পারলাম না যে আমরা একজন আরেকজনকে কতটা ভালোবাসি। হঠাৎ করে ঝিলিকের মনে হলো জে লাশটার মুখ এমনভাবে পড়ে গেছে তার বডিটা এবং গায়ের শার্টটা এত নিখুঁত কিভাবে থাকে। তারপরে মনে পড়লো গৌরবের মোবাইল ফোনটাও কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তখন ঝিলিক মনে মনে বলে এটা আমার গৌরব হতেই পারে না আমার গৌরব বেঁচে আছে। যেভাবেই হোক আমার গৌরব এবং আখিকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু তার জন্য আমাকে এখান থেকে আগে পালাতে হবে। তখনই রাইমা পিসিমণিকে বলে পিসিমণি এবার ঝিলিকের শাখা পলা এবং সিদুরটা মুছে দেওয়ার পালা। জান গিয়ে শাখা পোলাটা ভেঙ্গে সিঁদুরটা  মুছে দিন। পিসিমণে গিয়ে ঝিলিককে বলে দে মা যে যাবার সাথে চলে গেছে এখন তোর শাখা পরাটা ভেঙ্গে দিই। কিন্তু ঝিলিক ওর শাখা পলা ভাঙতে দিতে রাজি হয় না। তখন রাইমা  যায় এবং বলে এমন করিস না এগুলো করতে হবে এগুলো নিয়ম। তখনই ঝিলিক ওদের হাত ছড়িয়ে দিয়ে ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সাথে সাথে আইনের লোকেরা তাদের গাড়ি নিয়ে ওখান থেকে ঝিলিকের ধরার জন্য তাড়া করে। এদিকে ঝিলিক পালানোর জন্য দৌড়াতে থাকে। অন্যদিকে গৌরব সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পালাতে থাকে। আর এদিকে আমরা দেখতে পাই আঁখি ওরফে বর্তমান রেবেকা ওদের দলবল নিয়ে এলাকা থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।



ঝিলিক দৌড়ায় আর মনে মনে বলে আমাকে যেভাবেই হোক ওখান থেকে পালাতেই হবে। আজকে যদি আমি ধরা পড়ে যায় তাহলে আমি আর কখনো গৌরব আর আঁকি কাউকে কখনোই খুঁজে পাবো না। ঝিলিক দৌড়াচ্ছিল হঠাৎ করে একটা গাড়ির ভেতর থেকে হাত বের করে ঝিলিককে ডাকে আর গাড়িতে উঠতে বলে। তখন ঝিলিক ভাবে কি আমার কেমন ভাবে ডাকছে তখন ভালো করে খেয়াল করে দেখে ওটা দেবা। তখন ঝিলিক তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে যায়। গাড়িতে দেবা চার আনা এবং পোল্টু তিনজনে মিলে ঝিলিককে নিয়ে পালাতে থাকে। এদিকে আইনের  গাড়ি ওদের গাড়িকে তাড়া করতে থাকে। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই গৌরব দৌড়াতে দৌড়াতে আখি ওরফে রেবেকাদের গাড়িতে এসে ধাক্কা খায়। এবং গৌরব ওখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।আঁখি গাড়ি থেকে নেমে দেখে একটা লোক গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে  জ্ঞান হারিয়ে উল্টে পড়ে আছে। ডাকাডাকি করে কিন্তু এই সাড়া নেয় না গৌরব। তখন আখি বলে চলো এনাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে। কিন্তু রেবেকার যে বর্তমান মা উনি বলে তার কোন দরকার নেই এনাকে রাস্তার সাইডে রেখে চলো আমরা এখান থেকে পালাই। কিন্তু আখি রাজি হয় না বলে লোকটা অসুস্থ ইনাকে ফেলে কিভাবে যাব। তখন রেবেকার মা বলে তুই এমন ভাব করছিস যেন ও তোর কোন দেবর বা ভাসুর হয়। তখন ওখানে আস্তে আস্তে লোক জড়ো হয় আর বলে আপনারা এক্সিডেন্ট করিয়েছেন এক্ষুনি পুলিশে খবর দিতে হবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রেবেকার মা বলে আসলে এ বাইরের কেউ নয় আমারই ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তখন রেবেকা বলে দাদাকে ধরে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিতে হবে তাই বলে ওরা গৌরবকে তুলে নিয়ে চলে যায়। তখনই ওখানে সন্ত্রাসী গুলো চলে আসে আর লোকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে ওরা বলে হ্যাঁ দেখেছি লোকটা আপনার কে হয়। তখন সন্ত্রাসীরা বলে উনি আমার ভাই। তখন সাধারণ লোকেরা বলে আপনার মা বোন ওকে নিয়ে চলে গেছে। তখন সন্ত্রাসী গুলো বলে আমার তো কোন মা বোন নেই তখন। এলাকার লোকেরা বুঝতে পারে নিশ্চয়ই ভেতরে কোন ঝামেলা আছে তারপর ওরা সন্ত্রাসী গুলোকে ধরে ওখানেই পেটাতে থাকে।



অন্যদিকে আইনের লোকের গাড়িগুলো দেবা এবং ঝিলিকদের গাড়িকে ফলো করতে থাকে। হঠাৎ করে আইনের লোকেদের চোখে পড়ে রাস্তার পাশে ওই গাড়িটায় দাঁড়িয়ে আছে। তখন ওরা গাড়ি থেকে নেমে ওই গাড়ির কাছে গিয়ে ভেতর থেকে ড্রাইভারকে নামিয়ে আনে আর বলে মেয়েটা কোথায়। তখন ড্রাইভার বলে এখানে তো কোন মেয়ে নেই আমি আমার বসকে নিতে এসেছি। আসলে তখন ওই ড্রাইভার সেজে ওখানে কালিপদ ছিল। আইনের লোকেরা বলে আমরা দেখেছি এই গাড়িতেই ওই মেয়েটা ছিল। তখন কালিপদ গাড়ির নাম্বার জিজ্ঞাসা করে। আইনের লোকেরা নাম্বার বললে তখন ওই গাড়ির নাম্বারের সাথে মিলিয়ে দেখে নাম্বার মিলছে না। তখন কালীপদ বলে দেখতে এক রকম হলেও তো গাড়ি দুটো এক নয় নাম্বার আলাদা। আর আমি আমার বসকে নিতে এসেছি আপনারা জানেন আমার বস কে। আমার বস হল কোর্টে জজ সাহেব। তখন আইনের লোকেরা একটু ঘাবড়ে যায়। তখন কালিপদোর ফোনে একটা কল বাজে আর বলে দেখেছেন আমার বস কল দিয়েছে আমি ওনাকে নিতে এসেছি এখনই উনি চলে আসবেন।কালিপদ বলে আপনারা এখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যান না হলে আমার বস আপনাদেরকে দেখলে আবার ক্ষেপে যাবেন। তখন আইনের লোকেরা সকলে গাড়িতে ওঠে ওখান থেকে চলে যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post