পিআরকে চলে আসছে ছাতা বাড়ি এসে গৌরবকে খুঁজতে লাগে বিস্তারিতো

 

                                

দুই শালিক সিরিয়ালের আজকে ধামাকাধার নতুন পর্বের আপডেট,


গৌরবের মা গৌরবের ঘরে এসে ওর জিনিসগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিল আর কান্না করছিল। তখনই গৌরবের মায়ের কল্পনাতে গৌরব আসে। আর বলে মা তুমি কান্না কেন করছ আমি তোমার সাথে বিদেশ থেকে এসেছিলাম গল্প করার জন্য কিন্তু দেখেছো মা আমাকে এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে আমি তো ভাবতেই পারিনি। আজ আমি আর তুমি অনেক গল্প করবো চল মা। গৌরব এবং ওর মা দুজনে কান্না করছিল এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা স্যাড সং বাজছিল। গৌরব ওর মায়ের সাথে অনেক গল্প করে। কিন্তু একটা পর্যায়ে যে ওর মা বুঝতে পারে এটা শুধুই ওর কল্পনা। গৌরব আসলে ওখানে ছিলই না। অন্যদিকে আমরা দেখি দেবা পল্টু চার আনা এবং ডিলিট শহর থেকে অনেকটা দূরে একটা জায়গায় চলে আসে। দেবা ঝিলিককে বলে আজ থেকে আমরা এখানেই থাকবো এখানে তোকে আর খুঁজে পাবে না। তখন রিয়েলি দেবা কে বলে দেবা তোর কি মনে হয় এই কাজটা কে করতে পারে। দিবা বলে পিয়ার কে তো লকআপে আছে ওর দ্বারা তো এটা করা সম্ভব না। ঝিলিক বলে কিন্তু পি আর কে ছাড়া আমাদের এত বড় শত্রু আর কে হতে পারে যে আমাদের মারতে পর্যন্ত চেয়েছিল। আর আখিই বা কেন ওদের কথা মত চলবে। দেবা তখন বলে তুই কি সত্যিই দেখেছিলি ওটা কি আখেই ছিল। ঝিলিক বলে হ্যাঁ দেব আমি আমার বোনকে চিনতে একদমই ভুল করিনি। আমি ওকে আমার মত করে একটু একটু করে গড়ে তুলেছি। ওকে মরতে নয় মারতে শিখিয়েছি আমি। আর এখন ও এগুলোকে কাজে লাগিয়ে এমন করছে। কিন্তু জানিস তো দেবার তুই আর আমি আখিকে যতটা চিনি ও এমন করার মেয়ে নয়। আমার কি মনে হয় জানিস ওকে কেউ পরিচালনা করছে। আর যে ওকে পরিচালনা করছে সে সাধারণ কেউ নয় সে হয়তো বা অনেক ক্ষমতা জানে।




দেবা তখন বলে তার মানে। ঝিলিক বলে মানে দেখ আমাদের উদ্বোধনের সময় ম্যাজিশিয়ান কিন্তু পাল্টে গেছিল। আর ম্যাজিক দেখানোর ধরনও বদলে গিয়েছিল। ধ্বংস হবার পরে আমরা জানতে পারি ওই ম্যাজিশিয়ানদের কারা জানি আটকে রেখেছিল। আর যারা এটা করেছে তাদের মূল একটা অস্ত্র হলো মুখোশ। ওরা সবাই মুখোশ পড়েছিল। ওখানে ম্যাজিশিয়ান ছিল দুইজন। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এই দ্বিতীয়জনটা কে যে মানুষকে অদৃশ্য করার খেলা খেলছিল। এত নিরাপত্তার মাঝেও সে নিজের কাজ সেরে বেরিয়ে গেল। ঠিক কাল রাতের মত এত নিরাপত্তার মধ্য গয়না চুরি করে পালিয়ে গেল। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য বাতি নেবে ছিল এর ভিতরেই সবকিছু নিয়ে পালিয়ে গেল। দেবা তখন বলে কিন্তু কিভাবে খুজে বের করবে। ঝিলিক বলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। কাল একবার আমাদেরকে অডিটরিয়ামে যেতে হবে। ওখানে কিছু খুঁজে পেলেও পেতে পারি। দেবা বলে কিন্তু তোকে যদি চিনে ফেলে। বলে যাতে না চিনতে পারে সেই ব্যবস্থা করব। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই আখি ও রুপের রেবেকা গৌরবের জন্য নাস্তা নিয়ে আসে। তারপর ওকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলে আপনি নাস্তাটা খেয়ে নিন। গৌরব উঠে যখনই এদিকে তাকাই তখন আঁখি ও রুপের বেকার কে দেখে ঝিলিক মনে করে। তখন বলেন ঝিলিক তুমি এখানে। আমি জানতাম তুমি আমাকে ঠিকই খুঁজে বের করবে। আঁখি তখন অবাক হয়ে বলে কি হলো উনি আমাকে ঝিলিক মনে করছেন কেন। তার মানে এই ঝিলিকের অবশ্যই পরিচিত কেউ। তখন গৌরব বলে দিলে তুমি জানো আর আমাকে কি কি বলেছে। ওরা নাকি আমাকে আমার বলে একটা বডিকে সৎকার করে দিয়েছে। আমাকে আরো বলেছে একই দিনে তোমার বউর দুইটা প্রমোশন হবে একটা গয়নার চুরি করে জেলে যাবে দ্বিতীয় টা বিধবা হবে। ঝিলিক আমি বিশ্বাস করি না তুমি গয়না চুরি করেছো।




তুমি আমাকে বলো না কি হয়েছে। তুমি কি গয়না চুরি করেছো। তখন রেবেকা ওরফে আঁখি বুঝতে পারে এটা আসলে ঝিলিকের স্বামী। তখনো মনে মনে ভাবে তাহলে ও আমার স্বামীর পেছনে পড়ে আছে কেন। গৌরব তখন বলে আমি শুধু একাই কথা বলে যাচ্ছি তুমি কিছু বলছো না। তুমি তো একবারও জিজ্ঞাসা করলে না যে আমি কেমন আছি। সত্যি করে বলতো তুমি কি আঁখি নাকি ঝিলিক। রেবেকা তখন মনে মনে ভাবতে থাকে উনি আঁখি বলল কেন আমাকে। দেবাও তো আমাকে এই নামেই ডেকেছিল। আমার অন্য নাম কি আঁখি। কিন্তু আমার পরিবারের লোক তো আমাকে কেউ এখনো বলেনি এ নামের কথা। গৌরব বলে কি হলো বলো তুমি ঝিলিক নাকি আখি। তখন ওখানে রেবেকার মা চলে আসে আর বলে ও রেবেকা আমার মেয়ে। গৌরব তখন কিছুই বুঝতে পারছিল না তখনও বলে আমি একটু বাড়িতে কথা বলব আমার বাড়ির লোকেরা অনেক টেনশন করছে আমাকে নিয়ে। আমাকে বাড়ি যেতে দিন। দেবে তা বলে এটা তো শহর থেকে অনেকটা দূরে এখন আপনি চাইলে বাড়ি যেতে পারবেন না এত রাতে। তখন বলে তাহলে আমাকে একটু কথা বলতে দিন। রেবেকার মা তখন বলে ফোনে চার্জ নেই। একথা বলে রেবেকা কে ওখান থেকে নিয়ে চলে যায়। গৌরব বুঝতে পারে এখানে নিশ্চয়ই কোন ঘাবলা আছে। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই দেবা ঝিলিক দুজনে অডিটরিয়ামে যাই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে। ওখানে গিয়ে ওরা নিশ্চিত হয় যে ওটা আখিই ছিল। তারপর ওরা একটা গাড়ি দেখতে পাই যে গাড়ির ভেতরে ওই মুখোশটা ছিল তখন ওরা গাড়িটার নাম্বার প্লেটটা ছবি উঠিয়ে নিয়ে আসে ওখান থেকে। তারপর দেবা কে বলে তুই থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে এই নাম্বার এর গাড়িটা আসলে কার।

Post a Comment

Previous Post Next Post